
সূর্য দীঘল বাড়ী-আবু ইসহাক
Reliable shipping
Flexible returns
"সূর্য দীঘল বাড়ী" – আবু ইসহাক
লেখক: আবু ইসহাক
প্রথম প্রকাশ: ১৯৮৬
"সূর্য দীঘল বাড়ী" আবু ইসহাকের একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস, যা বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবন এবং কৃষকদের সংগ্রামের ওপর আলোকপাত করে। এটি গ্রামীণ সমাজের একটি বাস্তব চিত্র তুলে ধরে, যেখানে সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, আনন্দ-বেদনা, আশা-নিরাশার মিশ্রণ দেখা যায়। উপন্যাসের মূল চরিত্র মোহন মিয়া, একজন গ্রাম্য কৃষক, যার জীবন সংগ্রাম ও পরিশ্রমের মাধ্যমে গল্পটি এগিয়ে চলে।
এছাড়া, "সূর্য দীঘল বাড়ী"-তে জীবনের নানা অসঙ্গতি এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা খুবই সচেতনভাবে উঠে এসেছে। আবু ইসহাক এই উপন্যাসে গ্রামীণ জীবনের সমস্যা, বিশেষ করে ভূমিহীন কৃষকদের অবস্থা এবং তাদের সঙ্গে হওয়া অন্যায় ও শোষণের কথা তুলে ধরেছেন। লেখক উপন্যাসের মধ্যে গ্রাম্য রীতিনীতির, পারিবারিক সম্পর্কের, প্রেম-বিরহের মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিকও একত্রিত করেছেন, যা পাঠকের হৃদয়ে গভীর রেখাপাত করে।
উপন্যাসটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো তার ভাষার সরলতা এবং অতি-প্রতিকৃত বাস্তবতার উপস্থাপনা। প্রতিটি চরিত্রের মধ্যে রয়েছে জীবনের প্রতি এক ধরনের প্রবল ভালোবাসা, কিন্তু সাথে আছে হতাশা, সংগ্রাম ও বাস্তবতার কঠোরতা। উপন্যাসটির নামও অত্যন্ত অর্থপূর্ণ—"সূর্য দীঘল বাড়ী"—যা একটি দীর্ঘ এবং দীপ্তিময় ভবিষ্যতের প্রতীক।
পাঠক এই উপন্যাসে পেতে পারেন একটি জীবনদর্শন, যেখানে মানুষের অবস্থা ও সংগ্রামকে কেন্দ্র করে কাহিনী আবর্তিত হয়। আবু ইসহাক তাঁর এই কাহিনীর মাধ্যমে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবন, তার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, এবং রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে পাঠককে গভীর চিন্তা করার সুযোগ দেন।
নিরপেক্ষ মূল্যায়ন:
"সূর্য দীঘল বাড়ী" একটি শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী উপন্যাস যা গ্রামীণ বাংলাদেশের একটি নিখুঁত প্রতিচ্ছবি উপস্থাপন করে। এটি শুধুমাত্র একটি গল্প নয়, বরং একটি সময়ের চিত্র, যা গ্রাম্য মানুষের অসহায়ত্ব, সংগ্রাম এবং একেবারে সাধারণ জীবনের কঠিন বাস্তবতাকে ফুটিয়ে তোলে। এটি বাংলা সাহিত্যের একটি অপরিহার্য রচনা, যা আজও আমাদের সমাজের অবস্থা এবং মানুষের মানসিকতার প্রতি প্রশ্নবোধক দৃষ্টিকোণ দেয়।