সাতকাহন-সমরেশ মজুমদার
সাতকাহন-সমরেশ মজুমদার
Couldn't load pickup availability
সাতকাহন সমরেশ মজুমদারের একটি অনবদ্য উপন্যাস যা বাঙালি পাঠক সমাজের কাছে এক অনন্য স্থান দখল করে আছে। এটি মূলত নারীর জীবনের নানা দিক, সংগ্রাম এবং আত্ম-অন্বেষণের কাহিনী।
কাহিনী সংক্ষেপ:
উপন্যাসটির কেন্দ্রীয় চরিত্র দীপা, যার জীবনযাত্রা ও মানসিক বিকাশের গল্পই এই উপন্যাসের মূল উপজীব্য। ছোট্ট এক গ্রামে জন্ম নেওয়া দীপা প্রথাগত সামাজিক নিয়মকানুনকে অস্বীকার করে নিজের জীবনের পথ খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করে। সে পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল, কিন্তু সেইসঙ্গে স্বাধীনচেতা এবং তার নিজস্ব মতামত প্রকাশে সবসময় সোচ্চার।
উপন্যাসে দীপার জীবনের নানা পর্যায় যেমন তার শৈশব, কৈশোর, প্রেম, বিয়ে এবং জীবনের বিভিন্ন কঠিন মুহূর্ত অত্যন্ত গভীরভাবে চিত্রিত হয়েছে। লেখক দীপার চরিত্রের মাধ্যমে নারীর স্বাধীনতা, সামাজিক বাধা এবং ব্যক্তিত্বের বিকাশের বিষয়গুলো অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ফুটিয়ে তুলেছেন।
লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি:
সমরেশ মজুমদার তার সূক্ষ্ম লেখনী শৈলীর মাধ্যমে সমাজের প্রচলিত ধ্যানধারণা এবং পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের বিরুদ্ধে এক অনবদ্য প্রতিবাদ গড়ে তুলেছেন। দীপা শুধু একজন নারী নয়; সে এক সংগ্রামী মানুষের প্রতীক, যে নিজের জীবনের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিতে চায়।
ভাষা ও শৈলী:
সমরেশ মজুমদারের ভাষা সহজ, কিন্তু অত্যন্ত প্রভাবশালী। চরিত্রগুলোর সংলাপ এবং বর্ণনা জীবন্ত হয়ে পাঠকের সামনে উঠে আসে। গ্রামীণ বাংলার সৌন্দর্য এবং শহরের ব্যস্ততা—উভয়েরই অনুপম বর্ণনা এই উপন্যাসে পাওয়া যায়।
পাঠকের প্রতিক্রিয়া:
সাতকাহন উপন্যাসটি বাঙালি সমাজে নারীর অবস্থান ও পরিচয় নিয়ে চিন্তার খোরাক জোগায়। দীপার আত্মবিশ্বাস এবং স্বাধীনতার প্রতি আগ্রহ অনেক পাঠকের কাছে প্রেরণার উৎস।
সমাপ্তি:
সাতকাহন কেবল একটি উপন্যাস নয়, এটি সময়ের বিরুদ্ধে নারীর সংগ্রামের একটি নিদর্শন। দীপার গল্প প্রতিটি পাঠককে জীবন নিয়ে নতুন করে ভাবতে শেখায়। যারা নারীর জীবনের গভীরতা এবং সমাজের পরিবর্তনের গল্প জানতে চান, তাদের জন্য এই বইটি অবশ্য
পাঠ্য।
রেটিং: ৪.৫/৫
Share
