
শেষের কবিতা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
Reliable shipping
Flexible returns
বই: শেষের কবিতা
লেখক: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "শেষের কবিতা" বাংলা সাহিত্যের একটি অমূল্য রচনা। এটি একটি উপন্যাস, যা ১৯২৯ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় এবং এখনো বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে বিবেচিত। উপন্যাসটির মূল থিম প্রেম, বিচ্ছেদ, এবং আত্মসন্ধানের কাহিনী।
উপন্যাসের প্রধান চরিত্র শাম্মী এবং ঊর্মিলা। শাম্মী একজন স্বাধীনচেতা, মননশীল পুরুষ, যিনি বিশ্ব এবং প্রেমের ব্যাপারে গভীর চিন্তা করেন। অন্যদিকে, ঊর্মিলা এক তরুণী, যার জীবনভর প্রেমের প্রতি নিষ্ঠা এবং স্নেহ রয়েছে। এই দুই চরিত্রের মধ্যে একটি অদ্ভুত প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তবে তাদের সম্পর্কের গভীরতা ও জটিলতা উপন্যাসের সারা জুড়ে ফুটে ওঠে।
উপন্যাসটি কেবলমাত্র একটি প্রেমের কাহিনী নয়, বরং এটি জীবনের তীব্রতার, জীবনের উদ্দেশ্য এবং মানুষের সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ। রবীন্দ্রনাথ এখানে প্রেমের এক নতুন দিক উন্মোচন করেছেন, যেখানে প্রেমের সঙ্গে বিচ্ছেদের যন্ত্রণা এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতা অনেক গুরুত্ব পায়। "শেষের কবিতা" একটি আধ্যাত্মিক যাত্রার প্রতীক, যেখানে শাম্মী এবং ঊর্মিলার সম্পর্ক একদিকে প্রেমের শ্রেষ্ঠত্বকে প্রকাশ করে, অন্যদিকে তারা আত্মপরিচয়ের সন্ধানেও বেরিয়ে আসে।
রবীন্দ্রনাথের ভাষা চমৎকার এবং মধুর, যা পাঠককে এক ধরনের সুকুমার বোধের মধ্যে নিয়ে যায়। তাঁর রচনার মধ্যে গভীরতা, মানবিকতা, এবং জীবন সম্পর্কে এক বিশাল দর্শন ফুটে ওঠে। "শেষের কবিতা" শুধু একটি প্রেমের গল্প নয়, বরং এটি এক সাংস্কৃতিক এবং মানসিক কাঠামো যা আমাদের জীবন, সমাজ, এবং আত্মতত্ত্বের সম্পর্ককে নতুনভাবে চিনতে শেখায়।
এছাড়া, উপন্যাসে রবীন্দ্রনাথ তাঁর কবিতার সুর এবং অনুভূতিকে যেমন সংযুক্ত করেছেন, তেমনি তিনি মানবিক প্রেমের তীব্রতার কথা খুব সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। এই উপন্যাসের প্রতিটি মুহূর্তে পাঠক শাম্মী ও ঊর্মিলার সম্পর্কের নানা দিক অনুভব করতে পারে, যা একদিকে মনোমুগ্ধকর, অন্যদিকে একেবারে ভিন্ন ধরনের আবেগময়।
উপসংহার:
"শেষের কবিতা" শুধু একটি প্রেমের উপন্যাস নয়, এটি জীবন, সম্পর্ক এবং আত্মসন্ধানের একটি গভীর পাঠ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গুণগত রচনা এবং মানবিক অনুভূতির প্রকাশ এই উপন্যাসটিকে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনায় পরিণত করেছে।