
মোহিনীর বিয়ে-সেলিনা হোসেন
Reliable shipping
Flexible returns
"মোহিনীর বিয়ে" সেলিনা হোসেনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাস, যা সমাজের বিভিন্ন প্রথা, মানবিকতা এবং নারী মুক্তির প্রশ্নে গভীর আলোচনা করে। উপন্যাসটি প্রধানত একটি নারীর জীবনের নানা সংগ্রাম এবং তার আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা নিয়ে লেখা হয়েছে।
এই উপন্যাসের মূলভাবের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসে:
1. নারীর স্বাধীনতা ও অধিকার: মোহিনীর বিয়ে কাহিনিতে সমাজে নারীর অধিকার, তার স্বাধীনতা ও নিজস্ব ইচ্ছার প্রতি প্রশ্ন তোলা হয়েছে। মোহিনীর চরিত্রের মাধ্যমে লেখিকা সমাজের প্রচলিত নিয়ম ও অপ্রত্যাশিত বিয়ের প্রথা সম্পর্কে সমালোচনা করেছেন এবং নারীর স্বাধীন মতামত ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারকে গুরুত্ব দিয়েছেন।
2. পরিবার এবং সমাজের প্রভাব: মোহিনীর জীবনের মধ্যে পারিবারিক সম্পর্ক এবং সমাজের প্রতিষ্ঠিত নিয়মগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই উপন্যাসে পরিবার এবং সমাজের নানা চাপ ও বাধা নারীর জীবনে কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে, তা দেখানো হয়েছে।
3. স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম: মোহিনী তার জীবনে নিজের জীবনযাপন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা চেয়েছেন। এই উপন্যাসে সেই সংগ্রামের গল্প উঠে এসেছে, যেখানে সে তার ইচ্ছা, স্বপ্ন এবং আশা পূরণের জন্য সমাজের অন্ধকার দিকগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করে।
4. মোহিনীর চরিত্রের গভীরতা: মোহিনী একজন আত্মবিশ্বাসী নারী, যিনি তার জীবনকে নিজের মতো করে বাঁচতে চান। তার চরিত্রের মধ্যে সংগ্রাম, সাহস এবং সামাজিক প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে নিজের চাহিদা মেটানোর এক সাহসী উদাহরণ উঠে আসে।
"মোহিনীর বিয়ে" নারীর জীবনে চলমান পরিবর্তন এবং নিজের পরিচয় ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারের একটি শক্তিশালী চিত্র। এটি সমাজের মধ্যে নারীর স্থান এবং তার জীবনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরে।