Skip to product information

মানুষ হিশেবে আমার অপরাধসমূহ by হুমায়ুন আজাদ
Tk 206.00
Tk 275.00
Reliable shipping
Flexible returns
Summary:
আনিস, পেশায় যে একজন আমলা, যার জীবনবৃত্তান্ত মানুষ হিশেবে আমার অপরাধসমূহ-এর বিষয়, একজন স্পর্শকাতর, এবং অত্যন্ত স্বাভাবিক ও অত্যন্ত অস্বাভাবিক মানুষ, যার কাছে জীবনের প্রতিটি ঘটনাই অপরাধের মতো। আনিসের কাছে তার জীবনযাপন হচ্ছে নিরন্তর অপরাধযাপন।
হুমায়ুন আজাদ আনিসের জীবন বর্ণনা করেছেন তরুণ বয়স থেকে পঞ্চাশোত্তর বয়স পর্যন্ত; আনিস নিজে তার অপরাধগুলো বর্ণনা করেছে অকপটভাবে, গভীর অপরাধবোধের সাথে। আকস্মিক এক দুর্ঘটনার মধ্যে দিয়ে সে জড়িয়ে পড়ে বন্ধুস্ত্রী ডলির সাথে, বিয়ে করে তাকে সুখী করার সাধনা করে, যদিও তার সাধনা করো চোখে পড়ে না; আবার ডলিকে সে কখনো নিজের স্ত্রী বলেও ভাবতে পারেনা।
আনিস বিয়ের মধ্যে দিয়ে নতুন মানব সৃষ্টি করতে চায় না, সন্তান জন্ম দেয়া অপরাধ বলে মনে হয় তার, সে তার মতো আরো অপরাধী সৃষ্টি করতে চায় না; সে থাকতে চায় নিঃসন্তান, নিঃসঙ্গ, নির্জন। কিছুই তাকে সুখী করে না; কিছুই তাকে দুঃখ দিতে পারে না। আনিস কখনো ব্যর্থ নয়, ব্যর্থ হতে সে জানে না; সাফল্য সে চায় না, কিন্তু সাফল্য ছাড়া সে বাঁচতে পারে না; ব্যর্থ হওয়া তার কাছে অপরাধ, সফল হওয়াও অপরাধ। নারীসংস্পর্শে সে অনেক এসেছে, বারবার অপরাধ করেছে, নারীদের কাছে অপরাধ করেছে, অপরাধ করেছে নিজের কাছেও।
মধ্যেপঞ্চাশে একটি বালিকার সংস্পর্শে তার কোনো অপরাধবোধ হয় নি, তবে বালিকাটি চলে যাওয়ার পরই তার অপরাধবোধ জেগে ওঠে, এবং আনিস, আরো সাফল্য যার জন্যে অবাধারিত ছিল, পদত্যাগ করে তার উচ্চ পদ থেকে। সে বেরিয়ে যায় শহর আর সভ্যতা থেকে; যে-প্রকৃতি সে চেনে না আশ্রয় নিতে চায় তার মধ্যে। ছাপ্পান্নো হাজার বর্গমাইল ও সবকিছু ভেঙে পড়ের পর হুমায়ুন আজাদের এ উপন্যাসও পাঠকদের আলোড়িত ও পীড়িত করবে স্বপ্নে ও জাগরণে।
হুমায়ুন আজাদ আনিসের জীবন বর্ণনা করেছেন তরুণ বয়স থেকে পঞ্চাশোত্তর বয়স পর্যন্ত; আনিস নিজে তার অপরাধগুলো বর্ণনা করেছে অকপটভাবে, গভীর অপরাধবোধের সাথে। আকস্মিক এক দুর্ঘটনার মধ্যে দিয়ে সে জড়িয়ে পড়ে বন্ধুস্ত্রী ডলির সাথে, বিয়ে করে তাকে সুখী করার সাধনা করে, যদিও তার সাধনা করো চোখে পড়ে না; আবার ডলিকে সে কখনো নিজের স্ত্রী বলেও ভাবতে পারেনা।
আনিস বিয়ের মধ্যে দিয়ে নতুন মানব সৃষ্টি করতে চায় না, সন্তান জন্ম দেয়া অপরাধ বলে মনে হয় তার, সে তার মতো আরো অপরাধী সৃষ্টি করতে চায় না; সে থাকতে চায় নিঃসন্তান, নিঃসঙ্গ, নির্জন। কিছুই তাকে সুখী করে না; কিছুই তাকে দুঃখ দিতে পারে না। আনিস কখনো ব্যর্থ নয়, ব্যর্থ হতে সে জানে না; সাফল্য সে চায় না, কিন্তু সাফল্য ছাড়া সে বাঁচতে পারে না; ব্যর্থ হওয়া তার কাছে অপরাধ, সফল হওয়াও অপরাধ। নারীসংস্পর্শে সে অনেক এসেছে, বারবার অপরাধ করেছে, নারীদের কাছে অপরাধ করেছে, অপরাধ করেছে নিজের কাছেও।
মধ্যেপঞ্চাশে একটি বালিকার সংস্পর্শে তার কোনো অপরাধবোধ হয় নি, তবে বালিকাটি চলে যাওয়ার পরই তার অপরাধবোধ জেগে ওঠে, এবং আনিস, আরো সাফল্য যার জন্যে অবাধারিত ছিল, পদত্যাগ করে তার উচ্চ পদ থেকে। সে বেরিয়ে যায় শহর আর সভ্যতা থেকে; যে-প্রকৃতি সে চেনে না আশ্রয় নিতে চায় তার মধ্যে। ছাপ্পান্নো হাজার বর্গমাইল ও সবকিছু ভেঙে পড়ের পর হুমায়ুন আজাদের এ উপন্যাসও পাঠকদের আলোড়িত ও পীড়িত করবে স্বপ্নে ও জাগরণে।