বাঙ্গালীর হাসির গল্প ২-জসীমউদ্দিন
বাঙ্গালীর হাসির গল্প ২-জসীমউদ্দিন
Couldn't load pickup availability
বই: বাঙ্গালীর হাসির গল্প ২
লেখক: জসীমউদ্দিন
রিভিউ:
"বাঙ্গালীর হাসির গল্প ২" জসীমউদ্দিনের একটি অসাধারণ রচনা, যা তার পূর্ববর্তী রচনার মতোই হাস্যরস, ব্যঙ্গ ও সমাজের অদ্ভুত দিকগুলোকে এক নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করে। এই বইটি মজাদার, হাস্যকর, কখনও কখনও কটু, আবার কখনও জীবনদর্শন বা সমাজের বাস্তবতা নিয়ে আলোচনার একটি অসাধারণ সংমিশ্রণ।
জসীমউদ্দিন বাংলা সাহিত্য জগতে এমন একজন লেখক, যিনি মানুষের সহজাত হাস্যরস এবং সামাজিক সম্পর্কের নানা পর্যায়কে নিখুঁতভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। "বাঙ্গালীর হাসির গল্প ২" বইটিতেও তার এই গুণটি ফুটে উঠেছে। এখানে বেশ কিছু ছোট ছোট গল্প রয়েছে, যেগুলো গ্রামীণ বা শহুরে জীবনের বিভিন্ন হাস্যকর মুহূর্ত তুলে ধরে। প্রতিটি গল্পে রয়েছে বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত এক ধরনের হাস্যরসিকতা, যা পাঠকদের একদিকে যেমন মজা দেয়, তেমনি সমাজের কিছু অসঙ্গতিও চমৎকারভাবে প্রকাশ করে।
এই বইতে রয়েছে হাসির পাশাপাশি ব্যঙ্গাত্মক এবং মৃদু প্রতিবাদী সুর, যা সমাজের কিছু খুঁত এবং মানুষের সাধারণ আচরণ নিয়ে আলোকপাত করে। তবে, এসব তীর্যক মন্তব্য কখনও ভারি হয় না, বরং এক সুন্দর সহজ ভাষায় তা তুলে ধরা হয়, যা পাঠকদের মনে একটা মৃদু ভাবনা সৃষ্টি করে।
বিশ্লেষণ: "বাঙ্গালীর হাসির গল্প ২" বইটি পাঠককে নিছক হাসাতে নয়, বরং চিন্তা করতে প্ররোচিত করে। গল্পগুলোর মধ্যে হাস্যরসের পেছনে যে দার্শনিকতা এবং সমাজের প্রতি লেখকের মনোভাব রয়েছে, তা খুবই গভীর। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের তুচ্ছ বিষয়গুলোকে কীভাবে শিল্পিতভাবে তুলে ধরা যায়, তা জসীমউদ্দিনের লেখা গল্পগুলোর মধ্যে চমৎকারভাবে দেখা যায়। প্রতিটি গল্পে যেমন একটি মজার উপাদান রয়েছে, তেমনি সেই গল্পের মধ্য দিয়ে সমাজের প্রতিচ্ছবি, মানুষের চরিত্র, সম্পর্ক এবং সম্পর্কের জটিলতা স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে।
উপসংহার: "বাঙ্গালীর হাসির গল্প ২" জসীমউদ্দিনের এক অনবদ্য রচনা যা বাংলা সাহিত্যে হাস্যরসের গুরুত্বকে নতুনভাবে প্রমাণিত করেছে। বইটি হাস্যরসের সঙ্গে মানুষের জীবনের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে সক্ষম। এটি একটি সুখপাঠ্য এবং মজাদার বই যা পাঠকদের হাসানোর পাশাপাশি তাদের চিন্তা-ভাবনায় একটি প্রভাবও ফেলে।
Share
