
পারাপার-শহীদুল জহির
Reliable shipping
Flexible returns
"পারাপার" শহীদুল জহিরের একটি অনন্য ছোটগল্প, যা তার সাহিত্যিক দক্ষতা এবং জীবন-সমাজের গভীর বিশ্লেষণকে তুলে ধরে। গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৮৫ সালে, এবং এটি তার প্রথাগত কাব্যিক গদ্য ও বাস্তবতা-আশ্রিত ভাবনার এক উজ্জ্বল নিদর্শন।
---
গল্পের সারসংক্ষেপ:
গল্পের কেন্দ্রে রয়েছে একটি নদী এবং তার দুই পাড়ের মানুষের জীবন। নদীটি শুধুমাত্র একটি ভৌগোলিক উপাদান নয়; এটি গল্পের প্রতীক হিসেবে কাজ করে। এটি জীবনের চলমানতা, সম্পর্কের জটিলতা এবং মানুষে-মানুষে বিভেদের ইঙ্গিত বহন করে।
গল্পে দেখা যায়, দুই পাড়ের মানুষ নদী পার হয়ে যোগাযোগ করতে চায়। কিন্তু তাদের চাওয়ার পেছনে রয়েছে নিজেদের জীবনের সীমাবদ্ধতা, ভয়, এবং আশা। নদীটি যেমন জীবনের চলমানতার প্রতীক, তেমনই পারাপার মানুষের জীবনের চিরন্তন সংগ্রামের ইঙ্গিত।
---
গল্পের মূল থিম:
1. জীবন ও নদী:
নদী এখানে জীবনের প্রতীক। এটি মানুষের চলমানতার প্রতীক, যা কখনো বিরত হয় না।
2. মানুষে-মানুষে দূরত্ব:
গল্পে নদীর দুই পাড়ের মানুষ ভিন্নতাকে প্রতিনিধিত্ব করে। তাদের জীবন আলাদা, কিন্তু তারা পারাপারের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হতে চায়।
3. ভয় ও আশা:
নদী পারাপারের ভয় এবং এর পেছনে থাকা আশা গল্পের গভীর মানবিক দিককে তুলে ধরে।
4. প্রকৃতি ও মানুষের সম্পর্ক:
নদী শুধু জীবনের অংশ নয়; এটি মানুষের অস্তিত্বের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে।
---
গদ্যশৈলী:
শহীদুল জহিরের অন্যান্য গল্পের মতো "পারাপার"-এও কাব্যিক ভাষার ব্যবহার স্পষ্ট। তার বর্ণনায় নদীর বয়ে চলা, মানুষের আবেগ এবং পরিবেশ অত্যন্ত জীবন্ত হয়ে ওঠে।
---
গল্পের গুরুত্ব:
1. এটি বাংলা সাহিত্যে নদী ও জীবনের মেটাফোরিক চিত্রায়নের একটি দৃষ্টান্ত।
2. গল্পটি মানুষের জীবন সংগ্রাম এবং সম্পর্কের সূক্ষ্ম জটিলতাকে তুলে ধরে।
3. এটি পাঠকের সামনে জীবনের অর্থ এবং চলমানতার গভীর দার্শনিক প্রশ্ন উপস্থাপন করে।
---
কেন পড়বেন?
1. শহীদুল জহিরের কাব্যিক গদ্যের স্বাদ পেতে।
2. মানুষের জীবন ও প্রকৃতির সম্পর্ক নিয়ে ভাবতে।
3. একটি সাধারণ গল্পে গভীর অর্থ খুঁজে পেতে।
---
উপসংহার:
"পারাপার" শুধু একটি গল্প নয়; এটি জীবনের প্রতীক। শহীদুল জহিরের দক্ষ হাতে এটি বাংলা সাহিত্যের একটি কালজয়ী সৃষ্টি হয়ে উঠেছে। গল্পটি পাঠকের মননে গভীরভাবে ছাপ ফেলে এবং তাকে জীবন সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করে।