
নজরুল রচনাবলী(১ম-১২ খন্ড)-কাজী নজরুল ইসলাম
Reliable shipping
Flexible returns
নজরুল রচনাবলী (১ম-১২তম খণ্ড), কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যের একটি অমূল্য সংগ্রহ। এই রচনাবলীকে বাংলা সাহিত্যের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৃতিত্ব হিসেবে গণ্য করা হয়, কারণ এতে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা, গান (নজরুল সংগীত), প্রবন্ধ, ভাষণ এবং অন্যান্য সাহিত্য রচনাবলী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা তার বিপ্লবী চিন্তা, সামাজিক ন্যায্যতা এবং মানুষের অধিকারের পক্ষে কাজ করার প্রমাণ দেয়। নজরুল ইসলামের সাহিত্য শুধু সাহিত্যিক দিক দিয়েই নয়, বরং রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
নজরুল রচনাবলী (১ম-১২তম খণ্ড) এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
1. প্রথম খণ্ড (১ম খণ্ড): প্রথম খণ্ডে নজরুল ইসলামের প্রথম দিকের কবিতা, প্রবন্ধ এবং গান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এতে তার বিপ্লবী কবিতা এবং শোষণের বিরুদ্ধে তার প্রতিবাদ স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
2. দ্বিতীয় খণ্ড (২য় খণ্ড): দ্বিতীয় খণ্ডে নজরুলের প্রবন্ধ, কবিতা এবং গান সমন্বিত রয়েছে। এ খণ্ডে নজরুল ইসলামের সমাজ ও সংস্কৃতি সম্পর্কিত চিন্তা এবং তাদের বিপ্লবী দৃষ্টিভঙ্গি স্থান পেয়েছে।
3. তৃতীয় খণ্ড (৩য় খণ্ড): এই খণ্ডে নজরুল ইসলামের সাহিত্যিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং চিন্তাধারা আরও বিস্তৃত হয়েছে। সামাজিক পরিবর্তন, মানুষের অধিকার এবং সাম্য প্রতিষ্ঠার প্রতি তার দৃঢ় মনোভাব ফুটে উঠেছে।
4. চতুর্থ খণ্ড (৪র্থ খণ্ড): চতুর্থ খণ্ডে নজরুল ইসলামের ধর্মীয় দর্শন, রাজনৈতিক প্রতিবাদ এবং শোষণবিরোধী লেখাগুলির সংকলন রয়েছে। এই খণ্ডে তার প্রবন্ধ ও কবিতাগুলির মধ্যে ধর্ম, সংস্কৃতি এবং সমাজের সমালোচনা পাওয়া যায়।
5. পঞ্চম খণ্ড (৫ম খণ্ড): পঞ্চম খণ্ডে নজরুল ইসলামের নজরুল সংগীত এবং বিপ্লবী কবিতাগুলির পাশাপাশি তার সমাজবিরোধী চিন্তাভাবনা এবং সংস্কৃতিক আন্দোলন সম্পর্কে লিখিত রচনাবলী পাওয়া যায়।
6. ষষ্ঠ খণ্ড (৬ষ্ঠ খণ্ড): ষষ্ঠ খণ্ডে তাঁর সমাজ ও রাজনীতি সম্পর্কিত বিভিন্ন চিন্তা ও বক্তৃতা স্থান পেয়েছে। ধর্মীয় কুসংস্কার, শোষণ, এবং মানবাধিকারের পক্ষে তার শক্তিশালী মতামত প্রকাশ পেয়েছে।
7. সপ্তম খণ্ড (৭ম খণ্ড): সপ্তম খণ্ডে নজরুল ইসলামের প্রবন্ধ এবং গানগুলির মধ্যে তাঁর রাজনৈতিক চিন্তা এবং সমাজ সংস্কারের প্রতি তাঁর দৃঢ় অবস্থান দেখানো হয়েছে। এই খণ্ডে তিনি সমাজের অসঙ্গতিগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
8. অষ্টম খণ্ড (৮ম খণ্ড): অষ্টম খণ্ডে নজরুল ইসলামের কবিতা এবং গানগুলির মধ্যে রয়েছে তার বিপ্লবী ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি। এই খণ্ডে তার কবিতার মধ্যে মানুষের স্বাধীনতা, শ্রেণীবৈষম্য এবং সামাজিক ন্যায্যতার পক্ষে বার্তা রয়েছে।
9. নবম খণ্ড (৯ম খণ্ড): নবম খণ্ডে নজরুল ইসলামের সাহিত্যকর্মের আরও বিকাশ দেখা যায়। এখানে নজরুল সংগীত এবং তার বিপ্লবী কবিতার শক্তিশালী বিবরণ আছে, যা বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে।
10. দশম খণ্ড (১০ম খণ্ড): দশম খণ্ডে নজরুল ইসলামের আরও গান এবং প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা তার সাহিত্যিক দৃষ্টিভঙ্গির বিস্তৃত প্রতিফলন। এই খণ্ডে তার জাতীয়তাবাদী চিন্তা এবং শোষিত মানুষের মুক্তির পক্ষে তাঁর লেখনী প্রকাশ পেয়েছে।
11. একাদশ খণ্ড (১১ম খণ্ড): একাদশ খণ্ডে নজরুলের ভাষণ এবং কবিতাগুলির মধ্যে তার বিপ্লবী মনোভাব, মুক্তি সংগ্রাম এবং সমাজের সমালোচনা গুরুত্বপূর্ণ স্থান পেয়েছে।
12. দ্বাদশ খণ্ড (১২ম খণ্ড): দ্বাদশ খণ্ডে নজরুল ইসলামের বিভিন্ন রচনা, নজরুল সংগীত এবং অন্যান্য লেখালেখির একটি সমষ্টি রয়েছে, যা তার সাহিত্যিক যাত্রার সমাপ্তি ঘটায়।
সার্বিক মূল্য:
"নজরুল রচনাবলী (১ম-১২তম খণ্ড)" কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যিক ঐতিহ্য এবং তাঁর সাহিত্যকর্মের ঐতিহাসিক গুরুত্বের একটি বিশাল সংকলন। এটি বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য রত্ন, যা তাকে কবি, সাহিত্যিক, সংগীতজ্ঞ এবং রাজনৈতিক চিন্তাবিদেরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তার কবিতায় বিপ্লবী মনোভাব, মানবাধিকার, ধর্মনিরপেক্ষতা, স্বাধীনতা এবং জাতীয়তাবাদের পক্ষে অবস্থান স্পষ্ট, যা তাকে এক বিশেষ জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করেছে।