
তুই নিষিদ্ধ,তুই কথা কইস না-তাসলিমা নাসরিন
Reliable shipping
Flexible returns
বই : "তুই নিষিদ্ধ, তুই কথা কইস না" – তাসলিমা নাসরিন
তাসলিমা নাসরিনের "তুই নিষিদ্ধ, তুই কথা কইস না" একটি শক্তিশালী সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস, যা পাঠকদের মনে গভীর প্রভাব ফেলতে সক্ষম। তাসলিমা নাসরিন একজন খ্যাতনামা বাংলাদেশি লেখিকা, যিনি তাঁর লেখনীর মাধ্যমে সমাজের অন্ধকার দিকগুলিকে উন্মোচন করতে সক্ষম। এই বইটিতেও তার সেই পরিচিত গুণ স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
বইটির মূল উপজীব্য হলো নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি, ধর্মীয় কট্টরপন্থা এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতার প্রতি একটি গভীর আক্রমণ। লেখিকা তার লেখায় একটি তীব্র প্রতিবাদ তুলে ধরেছেন, যা নারীর অধিকার, স্বকীয়তা এবং মুক্তির পক্ষে কথা বলে। তাসলিমা নাসরিন তার লেখার মাধ্যমে যে প্রশ্নগুলো তুলে ধরেছেন তা শুধু বাংলাদেশ বা উপমহাদেশের সমাজব্যবস্থার সম্পর্কেই নয়, বরং সমগ্র বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি আলোকপাত।
বইটি তেমনভাবে কাহিনীর গাঁথুনি নিয়ে যায় না, বরং এটি লেখিকার অভ্যন্তরীণ চিন্তাধারা, তার সমাজ-জীবন সম্পর্কিত চিন্তাভাবনাগুলোর প্রতিফলন। লেখিকা নিজেই অনেকটা বইয়ের মূল চরিত্রের মতো। তার সশস্ত্র ভাষা, সাহসী প্রতিরোধ এবং কঠোর বাস্তবতার বর্ণনা পাঠককে মনে গভীর রেখাপাত করে।
"তুই নিষিদ্ধ, তুই কথা কইস না" বইটি একদিকে যেখানে ধর্মীয় এবং সামাজিক সীমাবদ্ধতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, অপরদিকে সেটি নারীর শোষণ, নির্যাতন ও নিষ্পেষণের চিত্র তুলে ধরে। বইটি পাঠককে প্রভাবিত করতে সক্ষম, কারণ এর মধ্যে বিদ্যমান নৈতিক এবং সমাজতাত্ত্বিক জিজ্ঞাসা একটি অমীমাংসিত বাস্তবতা নিয়ে কথা বলে।
এটি একটি অত্যন্ত সাহসী কাজ, যা কোনও নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা ব্যক্তির জন্য নয়, বরং মানবাধিকারের শপথ নিয়ে লেখা। তাসলিমা নাসরিনের লেখনীর মধ্যে যে ধরনের গভীরতা এবং কঠোর বাস্তবতার সম্মিলন রয়েছে, তা পাঠককে ভাবতে বাধ্য করে এবং নতুন চোখে সমাজ এবং ধর্মের দিকে তাকানোর জন্য প্ররোচিত করে।
সর্বশেষ বিশ্লেষণ: এই বইটি তাসলিমা নাসরিনের লেখনীতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যেখানে সাহসিকতা এবং প্রতিবাদের এক গভীর ভাষা খুঁজে পাওয়া যায়। এটি শুধুমাত্র একটি উপন্যাস নয়, বরং এক অনন্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বক্তব্য, যা পাঠকের মনে গভীর দা
গ রেখে যায়।