Skip to product information
ঠাকুরের মাৎস্যন্যায়

ঠাকুরের মাৎস্যন্যায়

Tk 250.00 Tk 450.00

Reliable shipping

Flexible returns

বই পর্যালোচনা: "ঠাকুরের মাৎস্যন্যায়" - সলিমুল্লাহ খান

সলিমুল্লাহ খানের লেখা "ঠাকুরের মাৎস্যন্যায়" একটি শক্তিশালী সামাজিক, রাজনৈতিক এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির সৃষ্টি। এ বইটি মূলত একটি সমাজের ভাঙন, অস্থিরতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের চিত্র তুলে ধরে, যা সাধারণ মানুষের উপর শোষণ ও অত্যাচারের নির্মম কাহিনী। বইটির মূল বিষয়বস্তু হল আধুনিক সমাজে নৈতিক অবক্ষয়ের পরিণতি, যেখানে পুঁজিবাদী এবং ধর্মীয় শক্তি সাধারণ মানুষকে শোষণ করে, এবং সেই শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে।

সলিমুল্লাহ খান তার ভাষায় যেমন তীক্ষ্ণ, তেমনি প্রাসঙ্গিকতা ও অন্তর্দৃষ্টির সঙ্গে সমাজের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করেছেন। তার কাহিনির মধ্যে রয়েছে মানবিক সম্পর্ক, রাজনৈতিক সঙ্কট এবং ধর্মীয় সহিষ্ণুতার অভাব, যা সমাজের বিভিন্ন স্তরে এক গভীর অসন্তোষ তৈরি করে। তিনি নৈতিকতার অবক্ষয়, ব্যক্তিগত ও সামাজিক অস্থিরতা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি মানুষের বিশ্বাস হারানোর বিষয়গুলো অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে উপস্থাপন করেছেন।

বইটি বিশেষভাবে গ্রামীণ সমাজের সমস্যা ও সংকটের উপরে আলোকপাত করে। "ঠাকুরের মাৎস্যন্যায়"-এর মাধ্যমে সলিমুল্লাহ খান একদিকে যেমন সমাজের বাস্তবতা তুলে ধরেছেন, তেমনি সমাজের পরিবর্তন ও বিকল্প পথে যাওয়ার সম্ভাবনাও প্রকাশ করেছেন। তার ভাষার প্রাঞ্জলতা ও গভীরতা পাঠককে ভাবাতে এবং চিন্তা করতে বাধ্য করে।

অতিরিক্ত দৃষ্টি আকর্ষণীয় বিষয়গুলো:

1. মানবিক দৃষ্টিকোণ: লেখক চরিত্রগুলোর মানসিক অবস্থা এবং তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।


2. সমাজের ক্ষত: ধর্মীয় বিভাজন, সামাজিক অন্যায় এবং শোষণ নিয়ে তিনি যে কঠোর সমালোচনা করেছেন, তা অত্যন্ত বাস্তব ও বর্তমান সমাজের জন্য প্রাসঙ্গিক।


3. পাঠকের ভাবনা: বইটি পড়ে পাঠক নিজে চিন্তা করতে বাধ্য হয় এবং সমাজের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হতে পারে।



সারাংশ:
সলিমুল্লাহ খানের "ঠাকুরের মাৎস্যন্যায়" একটি চিন্তা-উদ্রেককারী এবং সমাজ বাস্তবতার প্রতি গভীর দৃষ্টিভঙ্গির বই। এটি শুধুমাত্র একটি গল্প নয়, বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বার্তা। যারা সমাজের সমস্যাগুলোর প্রতি敏ত ও সোজা দৃষ্টিতে দেখতে চান, তাদের জন্য এই বইটি অপরিহার্য।

You may also like