জলপদ্ম-তাসলিমা নাসরিন
জলপদ্ম-তাসলিমা নাসরিন
Couldn't load pickup availability
বইয়ের নাম: জলপদ্ম
লেখক: তাসলিমা নাসরিন
প্রকাশিত সাল: ১৯৯৬
বইয়ের পরিচিতি
"জলপদ্ম" তাসলিমা নাসরিনের একটি শক্তিশালী উপন্যাস, যা নারীকে কেন্দ্র করে তার ব্যক্তিগত সংগ্রাম ও সমাজের শৃঙ্খলাবদ্ধ চিন্তাধারার বিরুদ্ধে লড়াই করার গল্প। এই বইটির মূল উপজীব্য হচ্ছে বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থা, নারীর অধিকার, এবং সমাজের অগ্রগতির ক্ষেত্রে নারীর ভূমিকা। উপন্যাসটি তাসলিমা নাসরিনের সাহিত্যিক দক্ষতার এক অনন্য উদাহরণ, যেখানে মানবিক সম্পর্ক, প্রেম, দুঃখ-কষ্ট এবং সামাজিক ন্যায়বিচার অগ্রণী ভূমিকা পালন করে।
মূল বিষয়
"জলপদ্ম"-এর কাহিনী একটি নারী চরিত্রকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়, যিনি তাঁর জীবনে নানা সংগ্রাম মোকাবেলা করেন। বইটির মূল ভাবনা হল সমাজের কুসংস্কার, নারীর প্রতি বৈষম্য, ও নারীর স্বাধীনতা অর্জনের পথ। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র, জলপদ্ম, একজন নারী যিনি তার নিজের অস্তিত্ব খুঁজে পেতে নানা বাধার মুখোমুখি হন। তার জীবন সংগ্রামই বইটির কেন্দ্রবিন্দু।
লেখকের স্টাইল
তাসলিমা নাসরিনের লেখনীতে গভীর মানবিকতা ও নৃশংস বাস্তবতার চিত্র ফুটে ওঠে। তার ভাষার সরলতা ও প্রাঞ্জলতার মধ্যে একটি শক্তিশালী বার্তা রয়েছে। বইটিতে মানুষের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ও সামাজিক কাঠামোর মধ্যে নারীকে কিভাবে খাপ খাইয়ে চলতে হয়, তা চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। তাসলিমা নাসরিনের লেখনীতে যে তীব্রতা ও আবেগ রয়েছে, তা পাঠককে বইয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করে রাখে।
চরিত্র
বইটির প্রধান চরিত্র জলপদ্ম একজন সংগ্রামী নারী, যার জীবনের পরতে পরতে আছড়ে পড়ে সামাজিক ও পারিবারিক সংকট। তিনি নিজের জীবনের সঠিক পথে চলার জন্য প্রচণ্ড সংগ্রাম করেন। তার চরিত্রের মাধ্যমে সমাজের অন্ধবিশ্বাস, নারীর প্রতি অবিচার, এবং সত্যের প্রতি তার অটুট বিশ্বাস ফুটে ওঠে।
বিষয়বস্তু
বইটির মূল থিম হলো নারীর স্বাধীনতা এবং তার আত্মমর্যাদা রক্ষার সংগ্রাম। এতে সমাজের পুরুষতান্ত্রিক প্রথা, পরিবারিক কুসংস্কার, এবং নারীর অধিকারের সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে। এটি নারীর প্রতি নির্যাতন ও তার পরিণতির বাস্তব চিত্রই প্রকাশ করে না, বরং সমাজের বঞ্চনা ও অন্ধকার দিকগুলোও চমৎকারভাবে তুলে ধরে।
মন্তব্য
"জলপদ্ম" এক অনবদ্য সাহিত্যকীর্তি যা আমাদের সমাজে নারীদের অবস্থা এবং তাদের মুক্তির সংগ্রামকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে। তাসলিমা নাসরিনের লেখনী পাঠককে চমকে দেয় এবং ভাবনার জগতকে ছুঁয়ে যায়। এটি শুধু একটি উপন্যাস নয়, একটি সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।
শেষ কথা
এই বইটি নারী-পুরুষের সমতার কথা বলে, যা বর্তমান সমাজে প্রতিফলিত হওয়ার জন্য অপরিহার্য। যারা সমাজের অন্ধকার দিকগুলোকে সঠিকভাবে বুঝতে চান এবং নারীর অধিকারের জন্য লড়াই করতে আগ্রহী, তাদের জন্য এই ব
ইটি একটি অপরিহার্য পাঠ।