কাঁটাতারে প্রজাপতি-সেলিনা হোসেন
কাঁটাতারে প্রজাপতি-সেলিনা হোসেন
Share
"কাঁটাতারে প্রজাপতি" সেলিনা হোসেনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাস যা বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রচিত। এটি মানুষের আত্মত্যাগ, সংগ্রাম এবং যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতার অর্জনকে চিত্রিত করে। উপন্যাসটির মূল ভাবের মধ্যে রয়েছে:
1. মুক্তিযুদ্ধের বেদনা: উপন্যাসে যুদ্ধের সময় সাধারণ মানুষের জীবনে ঘটে যাওয়া অত্যাচার, দুঃখ, কষ্ট এবং শরণার্থী জীবনকে অত্যন্ত বাস্তবতার সাথে তুলে ধরা হয়েছে। কাঁটাতারের শরণার্থী শিবির এবং তার প্রেক্ষাপটে মানুষের মানবিক অবস্থা এবং অস্তিত্বের সংগ্রাম ফুটে উঠেছে।
2. বিশ্ববিদ্যালয় জীবন ও প্রজাপতির প্রতীক: প্রজাপতি সাধারণত মুক্তির প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়, এবং কাঁটাতারে প্রজাপতির কথা বলা হয় জীবনের স্বাধীনতা, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র সুখের অভ্যন্তরীণ এক প্রকাশ। যুদ্ধকালীন কাঁটাতারে আটকে থাকা মানুষ এবং প্রজাপতির অনুপ্রেরণার মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক রচিত হয়েছে।
3. মানবিকতা ও সহানুভূতি: লেখিকা কাঁটাতারের মধ্যেও প্রজাপতির মতো কিছু ভালোবাসা, সহানুভূতি ও মানবিক অনুভূতি খুঁজে বের করেছেন। যদিও যুদ্ধের সময় মানবতার সীমাবদ্ধতা ছিল, তবুও কিছু মানুষ তাদের মানবিকতা বজায় রেখে সহানুভূতির হাত বাড়িয়েছিল।
4. স্বাধীনতা ও যুদ্ধের মূল্য: মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং তার প্রভাবের মধ্যে, এই উপন্যাসে স্বাধীনতার মূল্য এবং সেই মূল্য অর্জনে যে প্রজাপতি উড়ে যাওয়া রূপক ব্যবহার হয়েছে, তা মুক্তিযুদ্ধের কষ্ট, সংগ্রাম, ত্যাগ ও সংগ্রামকে চিত্রিত করে।
"কাঁটাতারে প্রজাপতি" উপন্যাসটি যুদ্ধের কষ্ট এবং মানুষের জীবনের অদম্য মনোবলকে গভীরভাবে প্রকাশ করেছে, যেখানে কাঁটাতারের মধ্যে থাকা হলেও মানুষ আশা এবং মুক্তির জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যায়।