Skip to product information
1 of 1

অগ্নিবীণা-কাজী নজরুল ইসলাম

অগ্নিবীণা-কাজী নজরুল ইসলাম

Regular price Tk 120.00 BDT
Regular price Tk 160.00 BDT Sale price Tk 120.00 BDT
Sale Sold out
Shipping calculated at checkout.

অগ্নিবীণা কাজী নজরুল ইসলামের একটি বিখ্যাত কবিতা যা তার সাহিত্যিক জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রচনা হিসেবে বিবেচিত। এটি ১৯২২ সালে প্রথম প্রকাশিত হয় এবং কবিতার ভাষা, ভাবনা, এবং সংগীতের কারণে তা আজও বাংলা সাহিত্যজগতের এক অমূল্য রত্ন। কবিতাটি নজরুলের বিপ্লবী মনোভাব এবং অগ্নিশক্তির সঙ্গে তার গভীর সম্পর্কের এক আদর্শ উদাহরণ।

কবিতার মূল ভাবনা:

কবিতাটির মূল বিষয় হল সংগ্রাম এবং প্রতিরোধের শক্তি, যা মানুষের আত্মবিশ্বাস ও শক্তিকে জাগ্রত করতে উৎসাহিত করে। "অগ্নিবীণা" শব্দটি এখানে প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, যেখানে "অগ্নি" (আগুন) এবং "বীণা" (এক ধরনের বাদ্যযন্ত্র) একসঙ্গে ব্যবহার করে নজরুল তাঁর সাহিত্যিক চিন্তা এবং বিপ্লবী মনোভাবের শক্তি প্রকাশ করেছেন। নজরুল তার "অগ্নিবীণা"কে একটি অগ্নিমন্ত্রের মতো দেখতে চেয়েছেন, যা মানুষের হৃদয়ে বিদ্যুৎপ্রবাহের মতো ছড়িয়ে পড়ে এবং সমাজ পরিবর্তনের জন্য উত্তেজনা সৃষ্টি করে।

কবিতাটির মধ্যে নজরুল অত্যন্ত শক্তিশালী ভাষায় একটি বার্তা দিয়েছেন: জীবনে সংগ্রাম এবং বিপ্লব ছাড়া উন্নতি সম্ভব নয়। কবিতার প্রতিটি স্তবক বা পঙক্তিতে তিনি প্রমাণ করেছেন, মানবতার মুক্তির জন্য "অগ্নিবীণা" বাজাতে হবে—এটি যেন মানুষের আত্মসম্মান, স্বাধীনতা, এবং ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য অগ্নিশিখার মতো জ্বলে ওঠে।

কবিতার সংক্ষিপ্ত রূপ:

"অগ্নিবীণা" কবিতায়, নজরুল তাঁর "অগ্নিবীণা"কে এক ধরনের শক্তির প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেন, যা ধ্বংস এবং নির্মাণের মূর্ত রূপ। কবিতার ভাষা অত্যন্ত জোরালো এবং উদ্দীপনামূলক, যেখানে কবি আক্রমণাত্মক, স্বাধীনতার পক্ষে ও বিপ্লবের প্রতি এক অদম্য আহ্বান জানিয়ে তার বিপ্লবী চেতনা প্রকাশ করেছেন।

তিনি এখানে "অগ্নি" বা আগুনের শক্তিকে মানুষের চেতনার জাগরণ এবং অবিচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের প্রেরণা হিসেবে দেখিয়েছেন। "অগ্নিবীণা" কবিতায় এই আগুনের সুরে প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে নতুন জাগরণ ঘটানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

কবিতার প্রতীকী অর্থ:

কবিতায় "অগ্নিবীণা" একটি দ্বৈত প্রতীক হিসেবে কাজ করে:

1. অগ্নি (আগুন) - যে আগুন মানুষের মধ্যে সংগ্রামের উদ্দীপনা এবং বিদ্রোহের শক্তি সৃষ্টি করে।


2. বীণা (বাদ্যযন্ত্র) - যে বীণা মানুষের মনকে স্পর্শ করে, সমাজ পরিবর্তনের জন্য গায়ক তথা কবির বার্তাকে ছড়িয়ে দেয়।

 

এখানে নজরুল তাঁর কবিতার মাধ্যমে সমাজের অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থা পরিবর্তন করতে চান এবং এক নতুন দিনের সূচনা করতে উদ্বুদ্ধ করেন।

উপসংহার:

"অগ্নিবীণা" কবিতা কাজী নজরুল ইসলামের বিপ্লবী দর্শন এবং সাহিত্যিক শক্তির এক অমুল্য প্রকাশ। এটি কেবল একটি কবিতা নয়, বরং এক ধরনের আন্দোলন, যা সমাজের প্রতি নজরুলের দায়বদ্ধতার প্রতীক হয়ে রয়েছে। তাঁর এই কবিতা আজও পাঠকদের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে থাকে, যা ন্যায় এবং মানবাধিকারের জন্য সংগ্রামের এক শক্তিশালী আহ্বান।

 

View full details