Skip to product information
শান্তা। বাবা মা এর এক মাত্র আদরের মেয়ে ছিল সে। এক দুর্ঘটনায় বাবা মারা যায়। তার কিছু দিন পরে মা ও না ফেরার দেশে চলে যায়। বয়স তখন তার মাত্র ৪। এই বয়সেই দুনিয়ার হিংস্র রূপ দেখতে হয় তাকে। মুদ্রার অপর পিঠ যে কত কুৎসিত তাকে দেখতে হয় ভাল ভাবেই। ফুফুর বাসায় থেকে কোন মতে বড় হয়ে ওঠে। নিজের মেধার জোরেই প্রথম সারির ইউনি থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করে সে। তারপরই দুম করে বিয়ে করে ফেলে তারই মতন আরেকটা ছেলেকে।

শান্তা পরিবার - মুহম্মদ জাফর ইকবাল
Tk 188.00
Tk 250.00
Reliable shipping
Flexible returns
বিয়ের রাতেই জানিয়ে দেয় সে কোন চাকুরি বাকুরি করবে না। হাফ ডজন আন্ডা বাচ্চা নিয়ে সে বাচ্চাদের পেলে পুষে আদর দিয়ে বড় করবে। যে আদর সে পায়নি। শেষ পর্যন্ত ৬ এর কোঠা পূরন না করতে পারলেও ৫টা বাচ্চাকে নিয়ে হেসে খেলে খুব সুখেই জীবন কেটে যাচ্ছিল তাদের। কিন্ত সুখ বেশী দিন কারো সয়না। শান্তারও সইল না। হুট করেই একটা এক্সিডেন্টে মারা গেল শান্তা। ৫টা বাচ্চা আর বাচ্চার বাবাকে অকুল পাথারে ফেলে।
শান্তা চলে যাওয়ার পর তারা হাড়ে হাড়ে টের পেল কি ছিল শান্তা পরিবারের জন্য। সিঙ্গেল হান্ডেডলি সে সব মেইনটেন করত সব। শান্তা চলে যাওয়ার পর ৫ বাচ্চারা মিলে সংসার আগলিয়ে রাখতে শুরু করল। আর ঘটতে থাকল হাসি কান্নার মিশেলে মজার মজার সব ঘটনা। যা একই সাথে মনকে নাড়া দেয় কাদায়ও। এই সব গল্পই শান্তা পরিবারের।