শরম-তাসলিমা নাসরিন

"শরম" তসলিমা নাসরিনের লেখা একটি প্রভাবশালী উপন্যাস, যা সমাজ, ধর্ম এবং নারীর অবস্থান সম্পর্কে গভীর চিন্তাধারা তুলে ধরে। এটি তার বিতর্কিত লেখাগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং সমকালীন সমাজের ভণ্ডামি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ।

বইয়ের সংক্ষিপ্তসার

"শরম" উপন্যাসে লেখক মূলত নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি, পিতৃতন্ত্রের নির্মম শোষণ এবং ধর্মের অপব্যবহারকে কেন্দ্র করে গল্প বুনেছেন। গল্পে নারী চরিত্রগুলোর যন্ত্রণা এবং তাদের সংগ্রামের কাহিনি অত্যন্ত বাস্তবধর্মীভাবে চিত্রিত হয়েছে। লেখক সমাজের ধর্মীয় গোঁড়ামি এবং ব্যক্তিগত জীবনে তার প্রভাব কীভাবে নারীদের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়, সেটি দেখিয়েছেন।

মূল বিষয়বস্তু

ধর্মের গোঁড়ামি: তসলিমা নাসরিন এখানে দেখিয়েছেন, ধর্ম কীভাবে মানুষকে দমন করে এবং ব্যক্তিস্বাধীনতাকে সীমিত করে।

নারীর অবস্থান: নারীরা সমাজে শোষিত এবং অবহেলিত। তাদের ব্যক্তিত্ব এবং চাওয়া-পাওয়ার কোনো মূল্য নেই।

প্রতিবাদ: লেখকের কলমে প্রতিবাদের ধ্বনি স্পষ্ট। সমাজের অমানবিক নিয়ম-কানুনের বিরুদ্ধে লেখক নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন।

ভাষা এবং লেখার ধরণ

তসলিমার ভাষা তীক্ষ্ণ, সাহসী এবং প্রখর। তিনি বাস্তবতাকে কঠোরভাবে তুলে ধরতে দ্বিধা করেন না। "শরম"-এ তিনি সরাসরি আঘাত করেছেন সামাজিক এবং ধর্মীয় ভণ্ডামির ওপর। এটি কোনোভাবেই হালকা বা বিনোদনের জন্য লেখা বই নয়; বরং এটি একটি শক্তিশালী বার্তা বহন করে।

পাঠকের প্রতিক্রিয়া

"শরম" পাঠককে গভীরভাবে নাড়া দেয়। কেউ কেউ এটি প্রশংসা করেছেন এর সাহসী এবং সত্যনিষ্ঠ লেখার জন্য। অন্যদিকে, তসলিমার অন্যান্য বইয়ের মতো এটিও অনেক বিতর্ক এবং সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে। বিশেষ করে যারা ধর্ম এবং সমাজব্যবস্থার সমালোচনা পছন্দ করেন না, তারা এটি নিয়ে নানান নেতিবাচক মন্তব্য করে

ছেন।

শেষ কথা

"শরম"