
জলমানব - মুহম্মদ জাফর ইকবাল
Reliable shipping
Flexible returns
শতাব্দীতে তাদের বলা হবে জলজ প্রাণী; এরকম-ই ধারণা স্থলমানবদের।
স্থলমানবরা অন্যদিকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে প্রভূত উন্নতি করেছে। তাদের আর কোন কিছু নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। সবকিছু নিয়ন্ত্রন করে কোয়াকম্প নামের একটি কোয়ান্টাম কম্পিউটার। মানুষের জীবন এখন শুধুই উপভোগের।
তবে এতকিছু করেও যেনো কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছে না স্থলমানবরা। তাদের জীবনের কোন অর্থ খুজে পায় না তারা। মাদক, কনসার্টের রেজোন্যান্স ছাড়া আর কোন কিছুই আনন্দ দিতে পারে না তাদের। শতকরা পনেরো ভাগ কিশোর কিশোরী আত্নহত্যা করে, মাদকাসক্ত চল্লিশ ভাগ।
এর মধ্যে একটা জিনিসই সত্যিকার অর্থে আনন্দদায়ক। সমুদ্রে শিকার; সামুদ্রিক মাছ না, সামুদ্রিক প্রাণী, জলমানব।
ছোট্ট একটা দ্বিপে থাকে নিহন। তাদের দিকে এগিয়ে আসছে এক ভয়ংকর টর্নেডো। শীঘ্রই তাদের আশ্রয় নিতে হবে সমুদ্রের নীচে। জ্ঞান-বিজ্ঞানে অনেক পিছিয়ে তারা, তাদের কোন কোয়ান্টাম কম্পিউটার নেই, কোন অস্ত্র নেই। একটা প্রশ্ন হঠাৎ করেই তার মনে উঁকি দেয়, আসলেই কি তাদের জ্ঞান-বিজ্ঞান বলে কিছু নেই। তাহলে কোন সাহায্য ছাড়া এই উত্তাল সমুদ্রে দীর্ঘ দুইশ' বছর কীভাবে টিকে আছে তারা। তারা জানে টর্নেডো তাদের নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না, যদি কেউ করে, তবে স্থলমানবরাই করবে।
জাফর ইকবাল স্যারের স্যায়েন্স ফিকশন গুলো আলাদা হয়ে ওঠে এর মানবীয় দিকের জন্য। সায়েন্স ফিকশন গল্পগুলোতে তিনি বরাবরই গুরুত্ব দেন মানুষের সাথে মানুষের আন্তঃসম্পর্কের ওপর। একইসাথে তিনি দেখোনোর চেষ্টা করে প্রযুক্তির ওপর মানুষের পরিপূর্ণ নির্ভরশীলতার কুফল।