আন্ডারস্ট্যান্ড - লুৎফুল কায়সার
আন্ডারস্ট্যান্ড - লুৎফুল কায়সার
Share
"আন্ডারস্ট্যান্ড" লুৎফুল কায়সারের অনুবাদে টেড চিয়াং-এর বিখ্যাত সায়েন্স ফিকশন গল্প। এটি মানুষের মস্তিষ্কের অজানা সম্ভাবনা এবং বুদ্ধিবৃত্তির সীমাহীনতার উপর ভিত্তি করে লেখা। মূল গল্পটি প্রথম প্রকাশিত হয় 1991 সালে এবং তাৎক্ষণিকভাবে সায়েন্স ফিকশনের জগতে একটি মাইলফলক হিসেবে জায়গা করে নেয়।
---
গল্পের সংক্ষেপ:
গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র লিওনার্ড। একটি দুর্ঘটনার পর তাকে একটি বিশেষ মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট দেওয়া হয়, যা তার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করে। সাধারণ মানুষের তুলনায় তার চিন্তাশক্তি, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, এবং অনুভূতিগুলো এক নতুন স্তরে উন্নীত হয়।
লিওনার্ডের পরিবর্তন তাকে পৃথিবীর সাধারণ মানুষের থেকে আলাদা করে তোলে। কিন্তু যখন সে বুঝতে পারে যে তার মতো আরও একজন ব্যক্তি আছে, তখন গল্পে শুরু হয় এক উত্তেজনাপূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক লড়াই। এই লড়াই শুধু বুদ্ধিমত্তার নয়, বরং অস্তিত্ব এবং নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নও সামনে নিয়ে আসে।
---
বইটির মূল থিম:
1. অধিক বুদ্ধিমত্তার প্রভাব:
মানুষের চিন্তাশক্তি যদি সীমাহীন হয়ে যায়, তাহলে তার জীবনের প্রকৃতি কেমন হবে?
2. বিচ্ছিন্নতা:
সাধারণ মানুষের থেকে ভিন্ন হয়ে ওঠার ফলে একজন ব্যক্তি কতটা একা হয়ে যেতে পারে।
3. ক্ষমতা ও নৈতিকতা:
অতিরিক্ত ক্ষমতা কি সত্যিই আশীর্বাদ, নাকি অভিশাপ হয়ে উঠতে পারে?
---
লুৎফুল কায়সারের অনুবাদ শৈলী:
লুৎফুল কায়সার অত্যন্ত যত্নশীলভাবে মূল গল্পের বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিক গভীরতাকে বাংলা ভাষায় তুলে ধরেছেন। তাঁর অনুবাদ সহজবোধ্য হলেও মূল গল্পের বুদ্ধিদীপ্ত পরিবেশ বজায় রয়েছে।
---
কেন পড়বেন:
1. বুদ্ধিবৃত্তি এবং মস্তিষ্কের সীমাহীনতার অন্বেষণ:
যারা মানুষের মস্তিষ্কের সম্ভাবনা নিয়ে আগ্রহী, তাদের জন্য এটি অবশ্যপাঠ্য।
2. মনস্তাত্ত্বিক উত্তেজনা:
গল্পটি আপনাকে চিন্তার এক ভিন্ন স্তরে নিয়ে যাবে এবং কল্পনার সীমানা প্রসারিত করবে।
3. সায়েন্স ফিকশন প্রেমীদের জন্য:
টেড চিয়াং-এর অন্যান্য কাজের মতো, এটি সায়েন্স ফিকশনের এক অনন্য নিদর্শন।
"আন্ডারস্ট্যান্ড" শুধুমাত্র একটি গল্প নয়, এটি এমন একটি চিন্তামূলক অভিজ্ঞতা, যা পাঠককে মানুষের জ্ঞান এবং তার সীমাবদ্ধতা নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে। লুৎফুল কায়সারের অনুবাদে গল্পটি বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের জন্য আরও উপভোগ্য হয়ে উঠেছে।